নট-টু-ডু লিস্ট করার গুরুত্ব - Importance of Not to Do Lists
নট-টু-ডু লিস্ট করার গুরুত্ব - Importance of Not to Do Lists
আমরা সবসময়ই শুনে থাকি – পজিটিভ চিন্তা করো, প্ল্যান করার সময় টু-ডু লিস্ট তৈরী করো, সবসময় ভালোটা নিয়ে ভাবো ইত্যাদি। কিন্তু, বাস্তব হলো যে, নেগেটিভ চিন্তারও কিন্তু দরকার আছে। আমরা যা করছি সেটাতে আমরা সফল না হলে কী করব সেটার জন্যও একটা প্ল্যান থাকা দরকার। পজিটিভের আশা আমরা রাখব, কিন্তু নেগেটিভটাকেও একেবারে উড়িয়ে দিব না।টু-ডু লিস্ট করার চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ন হলো নট-টু-ডু লিস্ট করা। আমাদের যা করা উচিত তা আমরা যতটা সময় না করি, তার চেয়ে বেশী সময় আমাদের যা না করা উচিত সেটা করে আমরা সময় নষ্ট করি।
ইসলামে নট-টু-ডু লিস্টের গুরুত্ব অপরিসীম। লক্ষ্য করলে দেখবেন, ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ন কথাগুলোতে না-বোধক শব্দ আছে। আমাদের শাহাদায় আমরা বলি “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” অর্থাৎ – “নেই কোনো উপাস্য আল্লাহ্ ছাড়া”। আবার যদি সূরা বাকারার দিকে তাকাই তাহলে দেখব আলিফ-লাম-মীম দিয়ে শুরু করার পরের বাক্যেই আল্লাহ্ বলে দিচ্ছেন – “লা রাইবা ফীহি” – “নেই কোনো সন্দেহ এতে (এই বইতে)”। আবার কুরআন শেষ হয়েছে সূরা ফালাক আর সূরা নাস দিয়ে – যে সূরা দুটিতে আল্লাহ্ মূলত আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন আমরা কিভাবে আমাদের দৃশ্যমান ও অদৃশ্য শত্রুদের থেকে নিজেকে রক্ষা করব। কুরআন ও সুন্নাহয় যেমনভাবে তাওহিদের শিক্ষা দেয়া হয়েছে, তেমনিভাবে শিক্ষা দেয়া হয়েছে শিরক সম্পর্কে। আল্লাহ্ শুধু আমাদের জান্নাতের আনন্দের কথাই বলেননি, সাথে বলেছেন জাহান্নামের কথাও – সবকিছু ভালো মতো হলে কী হবে তা যেমন জানার দরকার আছে, ধরা খেয়ে গেলে কী হবে তাও জানার দরকার আছে।
কাজেই, এরপর থেকে যখনই ব্যাংকের টাকা মারতে যাব, ঘুষ খেতে যাব, নামাজ মিস করতে যাব বা অন্য কোনো গুনাহর কাজ করতে চাইব – মনে পজিটিভ আশা হয়ত রাখব যে, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী আমাকে ধরবে না, আল্লাহও আমাকে মাফ করে দিবেন। কিন্তু, সাথে সাথে এটাও নিজেকে মনে করিয়ে দিব – ধরা যদি খেয়ে যাই তাহলে কোথায় যেয়ে ঠেকব আমি? মানুষ যদি ধরে বসে তাহলে এই দুনিয়ায় অপমানিত হব, আর আল্লাহ যদি ধরে বসেন তাহলে সম্ভবত দুই দুনিয়াতেই অপমানিত হব।
সূত্র: এই পোস্টটি আমার স্পন্দন ব্লগ থেকে কপি করা হয়েছে এবং আমি কিছুটা এডিট করেছি।
Zajhakallahu khoiron.
ReplyDelete